নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৩৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে ও প্রতারনা মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে ভুয়া ওয়ারেন্ট পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ওই ওয়ারেন্টে ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের চেষ্টাও করেছে। এব্যাপারে ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান, ফতুল্লার দক্ষিণ দেলপাড়া টাউয়ারপাড় গ্রামের মৃত. কেএম সোহেব আলীর ছেলে শামীম তারেক (৪৫) সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বস্তল মৌজায় অন্যের জমিতে সৃজন হাউজিং নামে একাধীক সাইন বোর্ড লাগায়। সেখানে আমাকে নিয়ে কম টাকায় প্লট পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। এতে আমি শামীম তারেককে ২০১২ সালের ১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে ৩৫ লাখ টাকা দেই। সে টাকা গ্রহণের পর আমাকে প্লট বুঝিয়ে না দিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে জমিতে গিয়ে দেখি সেখানে অন্য আরেকজন ভবন নির্মাণ করছে। এব্যাপারে শামীম তারেকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি। এরপর থেকে সে মামলা উঠিয়ে নিতে আমাকে নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি শামীম তারেক আমাকে মানব পাচার আইনের মামলা দিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। তার হুমকির কয়েকদিন পরই কক্সবাজার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এ দায়ের করা মানব পাচার মামলা দেখিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি ভুয়া ওয়ারেন্ট নারায়ণগঞ্জ কোর্টে পাঠায়। সেই ওয়ারেন্টে পুলিশ আমাকে ১০ অক্টোবর গ্রেফতারের চেষ্টা করে। ওয়ারেন্টটি ভুয়া জানালে পুলিশ আমাকে ওয়ারেন্ট মিথ্যা প্রমাণের সময় দিয়ে যান। এতে আমি কক্সবাজার জেলায় গিয়ে ওই আদালতে মামলার অনুসন্ধান করে জানতে পারি এধরনের কোন মামলা তাদের আদালতে নেই। পরে ১৭ অক্টোবর ভুয়া ওয়ারেন্টের তথ্য প্রমান দিয়ে শামীম তারেকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করি।
ওয়ারেন্ট নিয়ে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এএসআই আবুল কালাম জানান, মোশারফসহ দুই জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে আসে দুইটি ওয়ারেন্ট। এরপর ওয়ারেন্টটি নারায়ণগঞ্জ কোর্ট থেকে থানায় পাঠালে তামিলের জন্য আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি মোশারফকে গ্রেফতারের জন্য তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে তিনি আমাকে জানান ওয়ারেন্টটি ভুয়া। এতে আমি তাকে সময় দিয়ে আসি ওয়ারেন্ট ভুয়া প্রমাণের। পরে তিনি ওয়ারেন্টটি ভুয়া প্রমাণপত্র এনে দেখিয়েছেন। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে শামীম তারেকের বক্তব্য নিতে একাধীক তার মোবাইলে ফোন করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।